প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার প্রস্তুতি

প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ তোমাদের জন্য প্রাথমিক বিজ্ঞানের ৫ম অধ্যায় থেকে গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো। তোমরা মনোযোগ সহকারে প্রশ্নের উত্তরগুলো পড়বে।
বর্ণনামূলক উত্তর দাও:
প্রশ্ন: পদার্থ কাকে বলে? পদার্থের তিন দশার বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করো।
উত্তর: আমাদের চারপাশে রয়েছে নানা রকমের জিনিস, যেমন: চেয়ার-টেবিল, ঘরবাড়ি, মাটি, পানি, পাথর, লোহা, কাচ ইত্যাদি। এসব কিছু পদার্থের তৈরি। অর্থাৎ যা জায়গা দখল করে, যার ওজন আছে এবং বল প্রয়োগ করলে বাধার সৃষ্টি করে তাকে পদার্থ বলে। সকল পদার্থই পরমাণু দ্বারা তৈরি যা অবিভাজ্য অর্থাৎ ভাঙা যায় না।
পদার্থের তিনটি দশা রয়েছে। যথা: কঠিন, তরল ও বায়বীয়। নিচে পদার্থের এসব দশার বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হলো।
# কঠিন পদার্থের বৈশিষ্ট্যগুলো নিচে দেওয়া হলো:
১. কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট আকার আছে।
২. কঠিন পদার্থের ওজন আছে এবং এটি স্থান দখল করে।
৩. কঠিন পদার্থকে তাপ দিলে প্রসারিত হয়।
৪. কঠিন পদার্থকে বল প্রয়োগ করলে বাধার সৃষ্টি করে।
৫. কোনো কোনো কঠিন পদার্থকে তাপ দিলে তরলে পরিণত না হয়ে সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয়। যেমন: ন্যাপথলিন।
# তরল পদার্থের বৈশিষ্ট্যগুলো নিচে দেওয়া হলো:
১. তরল পদার্থের আয়তন আছে কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট আকার নেই।
২. তরল পদার্থের ওজন আছে এবং এটি স্থান দখল করে।
৩. তরল পদার্থ যে পাত্রে রাখা হয়, সে পাত্রের আকার ধারণ করে।
৪. তরল পদার্থ নিচের দিকে গড়িয়ে চলে।
# বায়বীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্যগুলো নিচে দেওয়া হলো:
১. বায়বীয় পদার্থের নির্দিষ্ট কোনো আকার বা আয়তন নেই।
২. বায়বীয় পদার্থের ওজন আছে।
৩. বায়বীয় পদার্থ স্থান দখল করে।
৪. বায়বীয় পদার্থকে ঠান্ডা করলে তরল পদার্থে পরিণত হয়।
প্রশ্ন: শক্তির পরিমাপ করা যায় তা দৃষ্টান্ত দিয়ে বোঝাও।
উত্তর: কোনো বস্তুর কাজ করার সামর্থ্যকে শক্তি বলে। একটি সহজ উপায়ে শক্তি খরচের পরিমাপ করা যায়। একটি স্প্রিংকে টেনে লম্বা করতে বল প্রয়োগ করতে হয়। স্প্রিংটা কতটা লম্বা হলো তার পরিমাপকে বল দ্বারা গুণ করলে শক্তির পরিমাপ বের হবে। অথবা একটি ভারী বস্তুকে ওপরে তোলার সময় বস্তুর ওজনকে দূরত্ব দিয়ে গুণ করলে শক্তির পরিমাপ করা যায়।
# পরবর্তী অংশ ছাপা হবে আগামীকাল
No comments:
Post a Comment