Blogroll

Monday, April 15, 2013

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি সংক্রান্ত তথ্যাবলী

 
বিশেষ সতর্কতাঃ প্রার্থীর নিজের উপস্থিতিতে প্রাথমিক আবেদন ও ছবি আপলোড করে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহের জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। প্রার্থীর অনুপস্থিতিতে প্রায়শঃ ভুল ছবি আপলোড করা হয় বা কোন অসাধু চক্র জাল প্রবেশপত্র তৈরী করে অথবা প্রবেশপত্রের ছবি পরিবর্তন করে তা প্রার্থীকে দেয়ায় প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হয়। প্রার্থীরা যে কোন সময়ে তার PIN বা রোল নং ব্যবহার করে ইন্টারনেটে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের Application Status-এ যাচাই করে নিতে পারবেন তার প্রবেশপত্রটি সঠিক কি না।
 
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিঃ প্রাথমিক আবেদন করা বা টাকা জমা দেয়ার জন্য প্রার্থীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বা ঢাকায় আসার প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশের যে কোন প্রান্ত থেকে সমভাবে আবেদন করা যাবে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শুধুমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে টাকা জমাদানের, ভর্তি পরীক্ষার আসনের অবস্থান বা ফলাফল সংক্রান্ত তথ্যাদি জানা যাবে, কোন টাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জমা নেয়া হয় না। কোন ব্যাংকের বা বিশেষ কোন শাখার কোন আলাদা গুরুত্ব নেই।

সাধারণ নির্দেশিকা

 

ভর্তির প্রাথমিক আবেদন করার নিয়ম:

যে সকল   ছাত্র-ছাত্রী   ২০১২ অথবা ২০১১   সালের    উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায়   উত্তীর্ণ   হয়েছে কেবল তারাই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষাক্রমে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন করতে পারবে।
তবে প্রার্থীকে অবশ্যই ২০০৭ সাল বা তার পরে মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

২৬ই অাগস্ট ২০১২ তারিখ থেকে ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০১২ ইং তারিখের মধ্যে প্রাথমিক আবেদনের ফি জমা দেয়ার পে-স্লিপ সংগ্রহ করা যাবে।
২৬ই অাগস্ট ২০১২ তারিখ থেকে ১৭ই সেপ্টেম্বর ২০১২ ইং তারিখের পর্যন্ত বাংলাদেশের যে কোন স্থানে অবস্থিত সোনালী, জনতা, অগ্রণী বা রূপালী ব্যাংকের যে কোন শাখায় টাকা জমা দেয়া যাবে।
আবেদনকারীকে অবশ্যই ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ ইং তারিখের মধ্যে ছবি আপলোড করে তার আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। অন্যথায়, আবেদনকারীর প্রাথমিক আবেদন অসম্পূর্ণ বিবেচনায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে এবং ব্যাংকে জমার টাকা বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে।

২০১১-২০১২ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববাদ্যালয়ে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে ভর্তিকৃত কোন ছাত্র/ছাত্রী যদি বিষয়/বিভাগ পরিবর্তনের জন্য পুনরায় ২০১২-২০১৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চায়, তবে তাকে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালকের নিকট থেকে ভর্তি-পরীক্ষায় অংশগ্রহণের লিখিত অনুমতি ও সংশ্লিষ্ট ইউনিটের ডিনের অনুমোদন পাওয়ার পর ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। তবে ২০১০ সনে বা তৎপূর্বে উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় পাশকৃত ছাত্রছাত্রীদের জন্য ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে আবেদনের সুযোগ নেই।
  একজন  আবেদনকারীকে নিম্নলিখিত চারটি ধাপ সম্পন্ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করতে হবে।
প্রথম ধাপ: (ইউনিট বাছাই)
ইন্টারনেটে এই ওয়েবসাইট থেকে প্রার্থী উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান/মানবিক/বাণিজ্য শাখায় পঠিত বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ইপ্সিত বিষয়/বিভাগে ভর্তির জন্য ক, খ, গ, ঘ এবং চ এই পাঁচটি ইউনিটের একটি বেছে নেবে।
দ্বিতীয় ধাপ: (আবেদনের ফি জমা রসিদ সংগ্রহ)
ওয়েবেসাইটে 'আবেদন (Apply)' লিংকে ক্লিক করে প্রার্থী উচ্চমাধ্যমিকের রোল নম্বর, শিক্ষাবোর্ড ও পাসের সন দিয়ে ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার রসিদ ডাউনলোড করে প্রিন্ট নেবে।

উচ্চমাধ্যমিকের ও মাধ্যমিকের সমমান এর যে কোনটিতে জিসিই বা বিদেশী সার্টিফিকেটধারী আবেদনকারীকে সমতা নিরূপনের জন্য প্রথমে তার প্রাথমিক ও শিক্ষাসংক্রান্ত তথ্য ও গ্রেডশীটের ফটোকপিসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিট অফিসে আবেদন করতে হবে। সমতা নির্ধারণের পর সে একটি (Equivalent ID) পাবে এবং সেই Equivalent ID উচ্চমাধ্যমিক/মাধ্যমিকের রোল নম্বরের স্থানে ব্যবহার করে সাধারণ নিয়মে টাকা জমা দেওয়ার রসিদ সংগ্রহ করতে হবে।
তৃতীয় ধাপ:(ব্যাংকে টাকা দেওয়া)
টাকা জমা দেওয়ার রসিদের দুটি অংশের নির্দিষ্ট স্থানে সদ্যতোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংযুক্ত করবে এবং রসিদের দুটি অংশেই আবেদনকারী স্বাক্ষর করে বাংলাদেশের যে কোন স্থানে অবস্থিত সোনালী, জনতা, অগ্রণী বা রূপালী ব্যাংকের শাখায় ৩৫০.০০ (তিনশত পঞ্চাশ) টাকা জমা দেবে। বিশেষ কোন শাখায় টাকা জমাদানে বিশেষ কোন সুবিধা পাওয়া যাবে না। দেশের সব স্থানের উল্লিখিত ব্যাংকগুলোর সব শাখায় জমাকৃত টাকার তথ্য সমান গুরুত্বের সাথে দ্রুততম সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছাবে।
চতুর্থ ও শেষ ধাপ: (ছবি আপলোড করে প্রবেশপত্র সংগ্রহ)
আবেদনকারীর টাকা জমাদানের তিন কার্যদিবসের পর, টাকা জমা দেওয়ার রসিদে উল্লেখিত ব্যাক্তি পরিচিতি নম্বর (Personal Identification Number-PIN) ব্যবহার করে টাকা জমা দেওয়ার রসিদে লাগানো ছবির অনুরূপ আরেকটি ছবি ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ ইং তারিখের মধ্যে আপলোড করে তার আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। অন্যথায়, আবেদনকারীর প্রাথমিক আবেদন অসম্পূর্ণ বিবেচনায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে এবং ব্যাংকে জমার টাকা বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে। ছবি আপলোডের পর ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র প্রিন্ট করে নেবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
যদি কোন আবেদনকারী ব্যাংকে টাকা জমাদানের তিন কার্যদিবস পরও পরীক্ষার প্রবেশপত্র তৈরি অবস্থায় না পায়, তাহলে সে, টাকা জমা দেওয়ার বিবরণসহ অনলাইনে, টেলিফোনে (৯৬৬৯৯৩৪)-এর মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অবহিত করবে।

ইউনিট বাছাই

আবেদনকারীকে তার উচ্চমাধ্যমিক বিজ্ঞান/মানবিক/বাণিজ্য শাখায় পঠিত বিষয়ের উপর ভিত্তি করে নিচের ইউনিটগুলোর নামের উপর ক্লিক করে তার ইপ্সীত ইউনিট বাছাই করতে পারবে। ইউনিট সম্পর্কে সাধারণ তথ্য জানতে এখানে ক্লিক করতে হবে।

উচ্চমাধ্যমিক অথবা সমমানের বিজ্ঞান অথবা কৃষিবিজ্ঞান শাখার ছাত্র-ছাত্রী বিজ্ঞান/জীববিজ্ঞান/ফার্মেসি/আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস/ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদ সংশ্লিষ্ট কোন বিভাগ/বিষয়ে অধ্যয়ন করতে আগ্রহী হলে তাকে ক-ইউনিটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

উচ্চমাধ্যমিক অথবা সমমানের মানবিক শাখার ছাত্র-ছাত্রী কলা/সামাজিক বিজ্ঞান/আইন অনুষদ সংশ্লিষ্ট কোন বিভাগ/বিষয়ে অধ্যয়ন করতে আগ্রহী হলে তাকে খ-ইউনিটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

উচ্চমাধ্যমিক অথবা সমমানের বানিজ্য শাখার ছাত্র-ছাত্রী বাণিজ্য অনুষদ সংশ্লিষ্ট কোন বিভাগে অধ্যয়ন করতে আগ্রহী হলে তাকে গ-ইউনিটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

উচ্চমাধ্যমিক অথবা সমমানের যেকোন শাখার ছাত্র-ছাত্রী তার সংশ্লিষ্ট ইউনিটের বাইরে কোন বিভাগ/বিষয়ে অধ্যয়ন করতে আগ্রহী হলে তাকে ঘ-ইউনিটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

উচ্চমাধ্যমিক অথবা সমমানের যেকোন শাখার ছাত্র-ছাত্রী চারুকলা অনুষদ সংশ্লিষ্ট কোন বিভাগে অধ্যয়ন করতে আগ্রহী হলে তাকে চ-ইউনিটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

No comments:

Post a Comment