Blogroll

Saturday, April 27, 2013

বাংলা

সময়-২ ঘণ্টা, পূর্ণমান-১০০
[দ্রষ্টব্য: ডান পাশে উল্লিখিত সংখ্যা প্রশ্নের পূর্ণমান জ্ঞাপক।]

 নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ো এবং ১, ২, ৩, ও ৪ ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
সংগীতের দুটো ক্ষেত্র আছে—এক. কণ্ঠসংগীত দুই. যন্ত্রসংগীত। সচরাচর কণ্ঠসংগীতের পরিপূরক হিসেবে ব্যবহূত হয় যন্ত্রসংগীত। তবে শুধু কণ্ঠসংগীত যেমন সম্ভব, তেমনি শুধু যন্ত্রসংগীতও সম্ভব।
বাঁশি, ঢোল, তবলা, করতাল, খোল, খঞ্জনি, হারমোনিয়াম, মাদল, একতারা, দোতারা, সেতার, সরোদ এ রকম অনেক বাদ্যযন্ত্র ব্যবহূত হয় কণ্ঠসংগীতের সহযোগী হিসেবে। যাঁরা এসব যন্ত্র ব্যবহার করেন, তাঁদের ভিন্ন ভিন্ন নাম আছে। বাঁশি বাজান যিনি, তিনি বংশীবাদক; ঢোল বাজান যিনি, তিনি ঢুলি; তবলা বাজান যিনি, তিনি তবলচি। গ্রামবাংলার বিভিন্ন অঞ্চলের সাধারণ মানুষের মধ্যেও সংগীত চর্চার ঐতিহ্য আছে। এসব গানকে সাধারণভাবে লোকসংগীত বলা হয়। লোকসংগীত সাধারণ মানুষের বাক প্রতিভার স্বতঃস্ফূর্ত অভিব্যক্তি।
১. সঠিক উত্তরটি লেখো: ১৫=৫
(১) ওপরের অনুচ্ছেদটি মূলত যে বিষয় নিয়ে লেখা তা হলো—
ক. ছড়া খ. নাটক
গ. সংগীত ঘ. কবিতা
(২) লোকসংগীতকে বলা হয়—
ক. শহরের লোকদের গান
খ. গ্রামবাংলার গান
গ. আধুনিক গান ঘ. বিদেশি গান
(৩) খঞ্জনি শব্দটির ‘ঞ্জ’ যুক্ত বর্ণটিতে আছে—
ক. জ+ঞ্জ খ. ঞ+জ
গ. ণ+জ ঘ. ণ+ছ
(৪) গ্রামবাংলার মানুষ ‘লোকসংগীত’ পছন্দ করে, কারণ—
ক. লোকসংগীত গাওয়া সহজ
খ. লোকসংগীত সাধারণ মানুষ গায়
গ. লোকসংগীত ছাড়া অন্য গান শুনতে পায় না
ঘ. লোকসংগীত সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অভিব্যক্তি
(৫) গ্রাম্যমেলার অনুষ্ঠানে কী ধরনের গান উপযুক্ত?
ক. রবীন্দ্রসংগীত খ. নজরুলসংগীত গ. বাউলসংগীত ঘ. ব্যান্ড সংগীত
২. নিচে কয়েকটি শব্দ এবং শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ করো। ১৫=৫
ক. অভিনয়ের মাধ্যমে মনের — ঘটে।
খ. এত ছোট মেয়ের — দেখে আমি মুগ্ধ।
গ. রুটি ভাতের — হিসেবে খাওয়া যায়।
ঘ. বৈশাখী মেলায় — এর আসর বসে।
ঙ. তিন্নি — ভাবে নাচতে রাজি হয়েছে।
৩. নিচের যুক্তবর্ণগুলো কোন কোন বর্ণ দিয়ে তৈরি তা লেখো এবং প্রদত্ত যুক্ত বর্ণ দিয়ে একটি করে শব্দ লেখো: ১৫=৫
ক্ত. ক্ষ, শ্ল, ল্প, ম্ফ
৪. (ক) লোককসংগীতকে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য বলা হয়েছে কেন? এর ৫টি কারণ লেখো। ৫২=১০
(খ) ‘ধানের দেশ, প্রাণের দেশ এই আমাদের বাংলাদেশ’—এই বাক্যটি দিয়ে কী বুঝানো হয়েছে? ৫টি বাক্যে উত্তর লেখো।
 নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৫. ৬. ৭ ও ৮ ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।
মুক্তিযুদ্ধের একেবারে শেষের দিকে তারা বুঝতে পারে যে, তাদের পরাজয় অবধারিত। তখন তারা এ দেশকে আরও গভীরভাবে ধ্বংস করার উদ্যোগ নেয়। তারা জানে, এ দেশের মনস্বী চিন্তাবিদ, শিক্ষাবিদ ও সৃষ্টিশীল সকলকে হত্যা করলে এ দেশের যে ক্ষতি হবে তা অপূরণীয়। পাকিস্তানিরা আমাদের সেই অপূরণীয় ক্ষতি করার কাজ শুরু করে। রাজাকার, আলবদর, আল-শামস বাহিনীর সহায়তায় নতুন করে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বিভিন্ন আবাসস্থল থেকে তারা ধরে নিয়ে যায় অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী ও আনোয়ার পাশাকে। তাঁরা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তুলে নিয়ে যায় ইতিহাসের অধ্যাপক সন্তোষ চন্দ্র ভট্টাচার্য ও গিয়াসউদ্দিন আহমদকে। ইংরেজির অধ্যাপক রাশীদুল হাসানও বাদ পড়েন না।
৫. সঠিক উত্তরটি উত্তরপত্রে লেখো: ১৫=৫
১. মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে পরাজয় অবধারিত, এটি কারা বুঝতে পেরেছিল?
ক. ভারতীয় মিত্র বাহিনী খ. পাকিস্তানি বাহিনী
গ. আলবদর বাহিনী ঘ. মুক্তিযোদ্ধারা
২. আমাদের এ দেশকে মেধাশূন্য করার জন্য পাকিস্তানি বাহিনী—
ক. রাজকারদের মেরেছিল
খ. ভারতীয় বাহিনীকে মেরেছিল
গ. এ দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল
ঘ. বুদ্ধিজীবীদের পাকিস্তানে নিয়ে গিয়েছিল
৩. কোন তারিখটিকে আমরা ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী’ দিবস হিসেবে পালন করি?
ক. ২৬ মার্চ খ. ১৫ আগস্ট
গ. ১৪ ডিসেম্বর ঘ. ১৬ ডিসেম্বর
৪. অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন?
ক. ঢাকা খ. চট্টগ্রাম গ. রাজশাহী
ঘ. জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
৫. ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন, তাঁদের এককথায় কী বলে?
ক. শহীদ খ. মুক্তিযোদ্ধা
গ. আলশামস ঘ. বুদ্ধিজীবী।
৬। নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষেপে উত্তর লেখো:
২৫=১০
ক. ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ বলতে আমরা কী বুঝি?
খ. রাজাকার, আলবদর, আলশামস কারা? তারা কী করত?
গ. যেকোনো চারজন বুদ্ধিজীবীর নাম লেখো।
ঘ. আমরা চিরদিন কাদের স্মরণ করে যাব?
ঙ. পাকিস্তানিরা কেন বাংলাদেশের অপূরণীয় ক্ষতি করতে চেয়েছিল?
 ৭। প্রদত্ত অনুচ্ছেদটির সারাংশ লেখো।                                                  ৫
 ৮। প্রদত্ত শব্দগুলোর অর্থ লেখো:                                                    ১৫ = ৫        
অবধারিত, মনস্বী, অপূরণীয়, যশস্বী, হত্যা
 ৯। নিচের বাক্যগুলোর প্রদত্ত ভুল শব্দটি শুদ্ধ করে লেখো:                                   ১৫=৫
ক. একেবেকে চলেছে অসংখ্য নদী।
খ. অন্ধ লোককে রাস্থা পার হতে সাহায্য করব।
গ. মুক্তিযোদ্ধারা রনক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যাননি।
ঘ. পদ্দা বাংলাদেশের একটি অন্যতম নদী।
ঙ. সূচ দিয়ে পিঠাপুলিতে নকশা আঁকা যায়।
অথবা,
নিচের শব্দগুলো কোনটি কোন পদ, তা সারিতে সাজাও।
হারমোনিয়াম, আবেগময়, উল্লসিত, বংশীবাদক, গীত
১০। বিরামচিহ্ন বসিয়ে অনুচ্ছেদটি পুনরায় লেখো:                                            ১৫=৫
মামা বললেন এটা শখের হাঁড়ি শখ করে পছন্দের জিনিস এই সুন্দর হাঁড়িতে রাখা হয় তাই এর নাম শখের হাঁড়ি তা ছাড়া শখের যেকোনো জিনিসই তো সুন্দর
 ১১। এককথায় প্রকাশ করো:                                                                     ১৫=৫
জানার ইচ্ছা, যার মূল্য নির্ধারণ করা যায় না, যা প্রয়োগ করা যায়, শাস্তি পাওয়ার যোগ্য, এক যুগের পর আরেক যুগ।
অথবা,
নিচের বাক্যগুলোর ক্রিয়াপদের চলিতরূপ লেখো:
ক. বাগানের ফুলগুলো দেখিতে অপূর্ব লাগছে।
খ. শ্রমিক দল সারা দিন পরিশ্রম করিতেছে।
গ. মিষ্টির দোকানে ভনভন করে মাছি ঘুরিতেছে।
ঘ. বিড়াল ইঁদুরের পেছনে ছুটিতেছে।
ঙ. ঔষধ স্প্রে করাতে প্রচুর মশা মরিতেছে।
 ১২। নিচে দাগ দেওয়া বাক্যগুলোর বিপরীত শব্দ লিখে বাক্যগুলো পুনরায় লেখো:                              ১৫=৫
ক. রবিন অত্যন্ত দুরন্ত প্রকৃতির ছেলে।
খ. ক্রিকেট খেলায় জয় হবে আগেই বলা যায় না।
গ. এ জগৎ-সংসারে সবাই সুখী মানুষ নয়।
ঘ. বাংলাদেশে অধিকাংশ মানুষ নগরে বাস করে।
ঙ. শিশুটি অনেকক্ষণ যাবৎ কাঁদছে।
অথবা,
নিচে প্রদত্ত প্রতিটি শব্দের একটি করে সমার্থক শব্দ লেখো:
বাসনা, বাতাস, বিশ্ব, আঁখি, গগন
১৩। কবিতার লাইনগুলো পরপর সাজিয়ে লেখো:
ক. একলা বসে আপন মনে ৬
নৌকা সারে সারে,
নদীর জোয়ার
এই ছবিটি চেনা।
বসে নদীর ধারে—
এই যে নদী
খ. কবিতার অংশটুকু কোন কবিতার অংশ, তা লেখো। ১
গ. কবিতাটির কবির নাম কী? ১
ঘ. গ্রামবাংলার কোন ছবিটি আমাদের চেনা? ২
১৪। ফুটবল খেলা দেখতে যাওয়ার জন্য সাময়িক ছুটি চেয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট একটি আবেদনপত্র লেখো। ৫
অথবা,
তোমার দেখা যেকোনো একটি জায়গার বর্ণনা দিয়ে বন্ধুর কাছে চিঠি লেখো।
১৫। আন্তপ্রাথমিক বিদ্যালয় মীনা মেলা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য নিচের ফরমটি পূরণ করো
ক. শিক্ষার্থীর নাম: ......................................
খ. বিদ্যালয়ের নাম:......................................
গ. শ্রেণী :.................................................
রোল নম্বর:................................................
ঘ. বর্তমান ঠিকানা:
গ্রাম/সড়ক নম্বর:........................... ডাকঘর/মহল্লা:...........................................
উপজেলা:.................................. জেলা:......................................................
ঙ. যেসব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক:
ক. ........................................................
খ. ........................................................

শ্রেণী শিক্ষকের স্বাক্ষর শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর

১৬। নিচের যেকোনো একটি বিষয় নিয়ে ২০০ শব্দের মধ্যে রচনা লেখো: ১০
ক. বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন (জন্ম, শিক্ষাজীবন, কর্মজীবন, মুক্তিযুদ্ধে অবদান ও উপসংহার)
খ. প্রিয় বই (প্রিয় বইয়ের পরিচিতি, বিষয়বস্তু, কেন ভালো লাগে, উপসংহার)
গ. আমার দেখা ঐতিহাসিক স্থান (স্থানপরিচিতি, বিখ্যাত কেন, তুমি কী জেনেছ ও উপসংহার)
ঘ. কম্পিউটার (সূচনা, কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ, কম্পিউটার কী কাজে ব্যবহার করা হয় ও উপসংহার)।
(জেনে রাখো: প্রদত্ত উপশিরোনাম ছাড়াও পরীক্ষাথী অন্য এক বা একাধিক উপশিরোনামও ব্যবহার করতে পারবে।)

No comments:

Post a Comment