Blogroll

Friday, April 12, 2013

University of Dhaka

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রতিষ্ঠা:              ১৯২১
ধরন:                 পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়
আচার্য:               রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান
উপাচার্য:             অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক
অনুষদ:              ১৩
ছাত্র:                  প্রায়২৭,০০০
অবস্থান:             ঢাকা, বাংলাদেশ
ঠিকানা:              রমনা, ঢাকা- ১০০০
প্রাঙ্গণ:               ২৫৬ একর
ডাকনাম:            ঢাবি (DU)
সংযুক্তি:             বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন
ওয়েবসাইট:        http://www.univdhaka.edu/
                                                                                       ভর্তি সংক্রান্ত তথ্যাবলী.........

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন বিশ্ববিদ্যালয়। এটি একটি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। এখানে পঁচিশ হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী এবং প্রায় ১৫০০ শিক্ষক রয়েছে৷ এটি ১৯২১ সালে স্থাপিত হয়৷ প্রতি বছর এখানে প্রায় ৫০০০ ছাত্র ভর্তি হয়৷ বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষিত সম্প্রদায়ের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী।
প্রতিষ্ঠার কথা
নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রধান প্রস্তাবক । ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনকালে স্বাধীন জাতিসত্ত্বার বিকাশের লক্ষ্যে বিশ শতকের দ্বিতীয় দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ব্রিটিশ ভারতে তত্কালীন শাসকদের অন্যায্য সিদ্ধান্তে পূর্ববঙ্গের মানুষের প্রতিবাদের ফসল হচ্ছে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এ সম্পর্কে প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন ঢাকা স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী গ্রন্থে লিখেছেন, "বঙ্গভঙ্গ রদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। লর্ড লিটন যাকে বলেছিলেন 'স্পেল্নডিড ইম্পিরিয়াল কমপেনসেশন'।
পূর্ববঙ্গ শিক্ষাদীক্ষা, অর্থনীতি সব ক্ষেত্রেই পিছিয়ে ছিল। বঙ্গভঙ্গ হওয়ার পর এ অবস্থার খানিকটা পরিবর্তন হয়েছিল, বিশেষ করে শিক্ষার ক্ষেত্রে।১৯১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ। এর মাত্র তিন দিন পূর্বে ভাইসরয় এর সাথে সাক্ষাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আবেদন জানিয়ে ছিলেন ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লাহ, ধনবাড়ীর নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। ২৭ মে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য প্রস্তাব করেন ব্যারিস্টার আর. নাথানের নেতৃত্বে ডি আর কুলচার, নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, নবাব সিরাজুল ইসলাম, ঢাকার প্রভাবশালী নাগরিক আনন্দচন্দ্র রায়, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ডব্লিউ.এ.টি. আচির্বল্ড, [জগন্নাথ কলেজ-এর অধ্যক্ষ ললিত মোহন চট্টোপাধ্যায়, ঢাকা মাদ্রাসার (বর্তমান কবি নজরুল সরকারি কলেজ) তত্ত্বাবধায়ক শামসুল উলামা আবু নসর মুহম্মদ ওয়াহেদ, মোহাম্মদ আলী (আলীগড়), প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যক্ষ এইচ.এইচ.আর.জেমস, প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যাপক সি.ডব্লিউ. পিক, এবং সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ সতীশ্চন্দ্র আচার্য। ১৯১৩ সালে প্রকাশিত হয় নাথান কমিটির ইতিবাচক রিপোর্ট এবং সে বছরই ডিসেম্বর মাসে সেটি অনুমোদিত হয়।
১৯১৭ সালে গঠিত স্যাডলার কমিশনও ইতিবাচক প্রস্তাব দিলে ১৯২০ সালের ১৩ মার্চ ভারতীয় আইন সভা পাশ করে 'দি ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট (অ্যাক্ট নং-১৩) ১৯২০'। পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে রফিকুল ইসলামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০ বছর গ্রন্থ থেকে জানা যায়, নাথান কমিটি রমনা অঞ্চলে ৪৫০ একর জায়গায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব দেয়। এই জায়গায় তখন ছিল ঢাকা কলেজ, গভর্নমেন্ট হাউস, সেক্রেটারিয়েট ও গভর্নমেন্ট প্রেসসমূহ। সৃষ্টির শুরুতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নানা প্রতিকূলতার মুখে পড়ে। কলকাতার তত্কালীন একটি শিক্ষিত মহল ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করে। এ ছাড়া ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এর ফলে পূর্ব বাংলার মানুষ হতাশা প্রকাশ করে। ১৯১৭ সালের মার্চ মাসে ইম্পেরিয়াল লেজিসলেটিভ কাউন্সিলে সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী সরকারের কাছে অবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিল পেশের আহ্বান জানান। ১৯২০ সালের ২৩ মার্চ গভর্নর জেনারেল এ বিলে সম্মতি দেন। এ আইনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার ভিত্তি। এ আইনের বাস্তবায়নের ফলাফল হিসেবে ১৯২১ সালের ১ জুলাই যাত্রা শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বার উন্মুক্ত হয় ১৯২১ সালের ১ জুলাই। সে সময়ের ঢাকার সবচেয়ে অভিজাত ও সৌন্দর্যমণ্ডিত রমনা এলাকায় প্রায় ৬০০ একর জমির উপর পূর্ববঙ্গ এবং আসাম প্রদেশের পরিত্যক্ত ভবনাদি এবং ঢাকা কলেজের (বর্তমান কার্জন হল) ভবনসমূহের সমন্বয়ে মনোরম পরিবেশে গড়ে উঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠার এই দিনটি প্রতিবছর "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস" হিসেবে পালন করা হয়।
তিনটি অনুষদ ও ১২টি বিভাগ নিয়ে একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এর যাত্রা শুরু হয়। কলা, বিজ্ঞান ও আইন অনুষদের অন্তর্ভুক্ত ছিল সংস্কৃত ও বাংলা, ইংরেজী, শিক্ষা, ইতিহাস, আরবী, ইসলামিক স্টাডিজ, ফারসী ও উর্দু, দর্শন, অর্থনীতি ও রাজনীতি, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, গণিত এবং আইন।
প্রথম শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন বিভাগে মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৮৭৭ জন এবং শিক্ষক সংখ্যা ছিল মাত্র ৬০ জন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী লীলা নাগ (ইংরেজী বিভাগ; এমএ-১৯২৩)। যে সব প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্নে শিক্ষকতার সাথে জড়িত ছিলেন তারা হলেনঃ হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, এফ.সি. টার্নার, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, জি.এইচ.ল্যাংলি, হরিদাস ভট্টাচার্য, ডব্লিউ.এ.জেনকিন্স, রমেশচন্দ্র মজুমদার, স্যার এ. এফ. রাহমান, সত্যেন্দ্রনাথ বসু নরেশচন্দ্র সেনগুপ্ত, জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ প্রমুখ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন অস্থিরতা ও ভারত বিভক্তি আন্দোলনের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা কিছুটা ব্যাহত হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান নামক দুইটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন পূর্ববঙ্গ তথা পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত প্রদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে এ দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা উজ্জীবিত হয়। নতুন উদ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ড শুরু হয়। তৎকালীন পূর্ববাংলার ৫৫ টি কলেজ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়। ১৯৪৭-৭১ সময়ের মধ্যে ৫টি নতুন অনুষদ, ১৬টি নতুন বিভাগ ও ৪টি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৫২ সনের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে গৌরবময় ভূমিকা। স্বাধীনতা যুদ্ধে এ বিশ্ববিদ্যালয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণের শিকার হয়। এতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রী সহ শহীদ হয়েছেন বহুজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের কঠোর নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে ১৯৬১ সালে স্বৈরাচারী আইয়ুব খানের সরকার প্রবর্তিত অর্ডিন্যান্স বাতিলের জন্য ষাটের দশক থেকে শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্বাধীনতার পর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ উক্ত অর্ডিন্যান্স বাতিল করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডার-১৯৭৩ জারি করে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় এই অর্ডার দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে।
অনুষদসমূহ
১.ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেকনোলজী অনুষদ
( ফলিত পদার্থবিজ্ঞান, ইলেকট্রনিক্‌স এবং কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ * ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রযুক্তি বিভাগ * কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ)
২.কলা অনুষদ
(বাংলা * * ইংরেজী * ফারসী ও উর্দু * দর্শন * ইতিহাস * আরবী * ইসলামিক স্টাডিজ * ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি * সংস্কৃত ও পালি * তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা * ভাষাবিজ্ঞান * নাট্যকলা ও সঙ্গীত * বিশ্ব ধর্মতত্ত্ব)
৩.বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ
( ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ * একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ * মার্কেটিং বিভাগ * ফিন্যান্স বিভাগ * ব্যাংকিং বিভাগ * ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ)
৪.বিজ্ঞান অনুষদ
( পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ * গণিত বিভাগ * রসায়ন বিভাগ * পরিসংখ্যান বিভাগ)
৫.জীববিজ্ঞান অনুষদ
( মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগ * উদ্ভিদ বিজ্ঞান * প্রাণিবিদ্যা * প্রাণ রসায়নও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান * মনোবিজ্ঞান * অণুজীব * মৎস বিজ্ঞান * চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান * জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি)
৬.সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ
( অর্থনীতি বিভাগ * রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ * আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ * সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ * লোক প্রশাসন বিভাগ * গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ * নৃবিজ্ঞান বিভাগ * পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগ * শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ * উইমেন্স স্টাডিজ বিভাগ * ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ)
৭.আইন অনুষদ
(Law & Justice)
৮.আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদ
(ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ * ভূতত্ত্ব বিভাগ)
৯.চিকিৎসা অনুষদ
( অংকন ও চিত্রায়ন • গ্রাফিক্স ডিজাইন • প্রিন্ট মেকিং • প্রাচ্যকলা • ভাষ্কর্য • কারুশিল্প • মৃৎশিল্প • শিল্পকলার ইতিহাস)
১০.ফার্মেসি অনুষদ
( ফার্মাসিউটিকাল কেমিস্ট্রি * ক্লিনিকাল ফার্মেসি এন্ড ফার্মাকোলজি * ঔষধ প্রযুক্তি)
১১.শিক্ষা অনুষদ
১২.চিকিৎসা অনুষদ
১৩.স্নাতকোত্তর চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুষদ

নোবেল পুরস্কার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বাংলাদেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

ইনস্টিটিউট সমূহ
১। শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট ২। পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট ৩। ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট ৪। পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ৫। চারুকলা ইনস্টিটিউট ৬। সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট ৭। আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট ৮। সাস্হ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট ৯। তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট
আবাসিক হলসমূহ
বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-ছাত্রীকে কোনো না কোনো হলের সাথে আবাসিক/অনাবাসিক ছাত্র-ছাত্রী হিসেবে যুক্ত থাকতে হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের জন্য ১৩ টি এবং ছাত্রীদের জন্য ৪ টি আবাসিক হল রয়েছে। এছাড়া চারুকলা ইনস্টিটিউট ও ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রয়েছে আলাদা হোস্টেল এবং বিদেশী ছাত্রদের জন্য আন্তর্জাতিক ছাত্রাবাস। হলের নাম:
১। সলিমুল্লাহ মুসলিম হল
২। শহীদুল্লাহ হল
৩। জগন্নাথ হল
৪। ফজলুল হক মুসলিম হল
৫। সার্জেন্ট জহুরূল হক হল
৬। রোকেয়া হল
৭। মাস্টারদা সূর্যসেন হল
৮। হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল; প্রতিষ্ঠা ১লা জানুয়ারি, ১৯৬৭। বর্তমান আবাসিক ছাত্রের সংখ্যা ৬০০, দ্বৈতাবাসিক ছাত্রের সংখ্যা ৮২০ এবং অনাবাসিক ছাত্রের সংখ্যা ৮৯০।
৯। শামসুন নাহার হল; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ছাত্রী হল।
১০। কবি জসিম উদ্দিন হল
১১। স্যার এ. এফ. রহমান হল
১২। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল
১৩। মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল
১৪। বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল
১৫। স্যার ফিলিপ হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হল
১৬। অমর একুশে হল
১৭। বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল
১৮। আই.বি.এ. হোস্টেল
১৯। শাহনেওয়াজ ছাত্রাবাস
২০। নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী ছাত্রী নিবাস
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ক্যাফেটেরিয়া আছে,যার মধ্যে কয়েকটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে। এর মধ্যে একটি হল মধুর ক্যান্টিন। তাছাড়া সাইন্স ক্যাফেটেরিয়া, জহিরের ক্যান্টিন, সেন্টার ফর এক্সিলেন্সের ক্যান্টিন, তাছাড়া বিভিন্ন হলের নিজস্ব ক্যান্টিন রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ যাবৎ মোট ২৭ জন উপাচার্য দায়িত্ব পালন করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও ২৭ তম উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

গুণীজন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষকতা করেছেন: মহামোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, রমেশচন্দ্র মজুমদার, ডবলু. এইচ. এ. সাদানি, ড.মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, আবু মাহমেদ হাবিবুল্লাহ, ড. জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, ড. রাশিদুল হাসান, ড. মুনির চৌধুরী, মুহম্মদ আবদুল হাই, ড. কাজী দীন মুহম্ম‌দ, ড. আহমদ শরীফ, ড.সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ড. ওয়াকিল আমেদ, ড. মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ, আনোয়ার পাশা, ড. মাহমুদ হুসাইন, ড. সুশীল কুমার দে, ড.গোবিন্দ চন্দ্র দেব, ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মিঞা, ড. মুহম্মদ এনামুল হক, ড. আনিসুজ্জামান, ড. হুমায়ুন আজাদ, ড. রেহমান সোবহান, অধ্যাপক ড.সত্যেন্দ্রনাথ বসু, ড. জে. কে. খাস্তগীর, ড. মোকাররম হোসেন খন্দকার, ড. ইন্নাস আলী, ড. এম. শমশের আলী, ড. মুহাম্মদ ইব্রাহিম, ড. কাজী মোতাহার হোসেন, ড. মজিদ আহমেদ, ভূপতিমোহন সেন, নলিনীমোহন বসু, নাফিস আহমেদ, ড. অজয় রায়, ড. ললিত মোহন নাথ, ড. হিরন্ময় সেনগুপ্ত, এন. সি. সেনগুপ্ত, ড. আবদুল্লাহ ফারুক, ড. মঈনউদ্দিন খান, আবদুর রাজ্জাক (জাতীয় অধ্যাপক), সরদার ফজলুল করিম, এ. কে. নাজমুল করিম, আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, ড. আবু আহমেদ, পি. মহেশ্বরী, ড. হাবিবুল্লাহ খান ইউসুফজাই, ড. কামালউদ্দিন সিদ্দিকী, ড. আনোয়ারুল আজিম চৌধুরী, ড. ইয়াজুদ্দিন আহমেদ, ড. এ. জেড. এম. নওশের আলী খান, ড. এ. কে. এম. নুরুল ইসলাম (জাতীয় অধ্যাপক), ড. আবুল কালাম আজাদ চৌধুরী, ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান ।

No comments:

Post a Comment