Blogroll

Friday, April 12, 2013

Rajshahi University of Engineering & Technology

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
প্রতিষ্ঠা:          ১৯৬২
ধরন:             পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়
আচার্য:           রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান
উপাচার্য:        প্রফেসর ডঃ সিরাজুল করিম চৌধুরী
অনুষদ:          ৩
ছাত্র:             ২০০০
অবস্থান:         রাজশাহী, বাংলাদেশ
প্রাঙ্গণ:           ১৫০ একর (০.৬১ বর্গ কিমি)
ডাকনাম:        রাবি (RU)
সংযুক্তি:         বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন
ওয়েবসাইট:    http://www.ruet.ac.bd/

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বা রুয়েট (Rajshahi University of Engineering and Technology (RUET)) বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রাচীনতম এবং উত্তরাঞ্চলের একমাত্র প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়।১৯৬৪ সালের ডিসেম্বরে ১২২ জন ছাত্র নিয়ে রাজশাহী প্রকৌশল মহাবিদ্যালয় নামে যাত্রা শুরু করে এই প্রতিষ্ঠানটি।১৯৮৬ সালে তা রুপান্তরিত হয় বাংলাদেশ ইনিষ্টিটিউট অব টেকনোলজি (বি,আই,টি),রাজশাহীতে।দেশে ও বিদেশে প্রকৌশল শিক্ষার চাহিদা বৃদ্ধি এবং প্রকৌশল বিদ্যায় উচ্চতর ডিগ্রী ও গবেষণার সুযোগ তৈরী করতে ২০০৩ সালে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বা রুয়েট নামে একটি পূর্নাঙ্গ বিশ্ববাদ্যালয়ে পরিনত হয়।বর্তমান এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করে।মোট শিক্ষকের সংখ্যা দুই শতাধিক।


পরীক্ষার্থীদের যাতায়াত ও বাসস্হানের তথ্য:
ঢাকা থেকে রাজশাহী যাওয়ার জন্য অসংখ্য বাস সার্ভিস আছে ।প্রায় ৩০ মিনিট পরপর গাড়ী পাওয়া যায় ।এমনকি ট্রেনযোগেও যাওয়া যায় ।বাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা,বিনোদপুর অথবা মেইন গেটে নামতে হয় ।রাজশাহী মেইন শহর থেকে রিক্সা অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে ক্যাম্পাসে আসা যায় , রিক্সা ভাড়া ১৫টাকা ।রাজশাহীতে থাকার জন্য অনেক হোটেল আছে যেমন: হোটেল ওয়েহোম(নিউমার্কেট),হোটেল মিডটাউন(সাহেব বাজার),হোটেল মুক্তা(সাহেব বাজার),হোটেল হক’স ইন(শিরোইল বাসস্ট্যান্ড) ইত্যাদি ।তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলোতেও রাত্রীযাপন করতে পারবেন ।তারপরও কোন সমস্যা হলে বিডিক্যাম্পাসনিউজ প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ করুন:
ফোন:০১৭১২৯৩৪৪৭২,০১৬৭১৫৪২০৯০,০১৭২২৯২০০৮৩ ।
ঢাকা থেকে রাজশাহী অথবা রাজশাহী থেকে ঢাকা যাওয়ার বিভিন্ন কাউন্টারের নম্বর নিচে দেওয়া হল:
ন্যাশনাল পরিবহন(ঢাকার বিভিন্ন কাউন্টার):
কল্যাণপুর কাউন্টার: ফোন-৮০২৩০৯২,০১৭১৩২২৮২৮৬
গাবতলী কাউন্টার: ফোন-৯০০৫৮৪৪
কলাবাগান কাউন্টার: ফোন-৯১৪৩৩৭২
উত্তরা কাউন্টার: ফোন-০১৯১৩৩৭৭৪৫৯,০১৭২৬৭১৭২২৬
টেকনিক্যাল কাউন্টার: ফোন-৮০৩৩৯৫৯,০১৭১৩২২৮২৮৭
নবীনগর কাউন্টার: ফোন- ৭৭০৮৯৫৪,০১৭১২০৪৪৩০১


রাজশাহীর বিভিন্ন কাউন্টার:
শিরইল কাউন্টার:০১৭১৩২২৮২৮৩,৭৭১২৪০
কাজলা কাউন্টার:৭৫০২৩০
লক্কিপুর কাউন্টার:৭৭৩৬৮৬

গ্রীণলাইন পরিবহন:
৯/২ আউটার সার্কুলার রোড,মোমেনবাগ,রাজারবাগ,ঢাকা. ফোন: ৯৩৩৯৬২৩,৯৩৪২৫৮০


ট্রেনের সময়সূচী:
(ফোন:রাজশাহী ষ্টেশন-০৭২১৭৬১৯৪০,ঢাকা ষ্টেশন-০২৮৩১৫৮৫৭):

ধুমকেতু এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে ছেড়ে যায় ভোড় ৬টায় রাজশাহী পৌছে দুপুর ১২টায় ।প্রতি মঙ্গলবার ট্রেনটি বন্দ থাকে ।

সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে ছেড়ে যায় দপুর ২টা ৪০ মিনিটে রাজশাহী পৌছে রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে।প্রতি রবিবার ট্রেনটি বন্দ থাকে ।

পদ্মা এক্সপ্রেস ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে ছেড়ে যায় রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে রাজশাহী পৌছে ভোড় ৪টা ৪৫ মিনিটে ।প্রতি মঙ্গলবার ট্রেনটি বন্দ থাকে ।

সিল্কসিটি এক্সপ্রেস রাজশাহী থেকে ছেড়ে যায় ভোড় ৭টা ৩০ মিনিটে ঢাকা পৌছে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে ।প্রতি রবিবার ট্রেনটি বন্দ থাকে ।

পদ্মা এক্সপ্রেস রাজশাহী থেকে ছেড়ে যায় বিকাল ৪টায় ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে পৌছে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে ।প্রতি মঙ্গলবার ট্রেনটি বন্দ থাকে ।

ধুমকেতু এক্সপ্রেস রাজশাহী থেকে ছেড়ে যায় ভোড় রাত ১১টা ২০ মিনিটে ঢাকা পৌছে ভোড় ৪টা ৫০ মিনিটে ।প্রতি মঙ্গলবার ট্রেনটি বন্দ থাকে ।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের পাশে রাজশাহী শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দুরে পদ্মা নদীর তীর ঘেঁষে অবস্থিত৷ দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে ১৯৫৩ সালের ৬ই জুলাই৷ সেদিন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংখ্যা ছিলো মাত্র ১৬১জন৷ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এখন মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার৷ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ছিলেন ইতরাত হোসেন জুবেরী৷
প্রতিষ্ঠার কথা
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের অন্যতম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। এটি ১৯৬৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রকৌশল অনুষদ হিসেবে যাত্রা শুরু করে।তখন এখানে যন্ত্রকৌশল, পুরকৌশল এবং তড়িৎকৌশল বিভাগের অধীনে সন্মান ডিগ্রী প্রদান করা হত। কিন্তু প্রশাষনিক জটিলতার কারনে এর শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছিল। কারন এর প্রশাষন নিয়ন্ত্রণ করত শিক্ষা মন্ত্রনালয়; একাডেমিক ক্যারিকুলাম ঠিক করত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আর অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ করত পাবলিক ওয়ার্ক ডিপার্টমেন্ট। এ সমস্যা সমাধানের জন্য ১৯৭৩ সালে কয়েকটি কমিশন ও কমিটি গঠন করা হয়।এই কমিশন ও কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে দেশের চারটি প্রকৌশল মহাবিদ্যালয় কে স্বায়ত্তশাসন দেওয়ার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এর তৎকালীন উপাচার্য ডঃ ওয়াহিদ উদ্দীনের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হয়।এই কমিটি দেশের চারটি প্রকৌশল মহাবিদ্যালয় কে একত্রে নিয়ে ১৯৮৬ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব টেকনোলজি(বিআইটি) গঠন করে। কিন্তু সীমিত স্বায়ত্তশাসন এবং বি,আই,টি অধ্যাদেশের কিছু সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতার কারনে এই প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। তখন-ই বিআইটি গুলিকে পূর্নাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপন্তরের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।এর ফলশ্রুতিতে জাতীয় সংসদে বিশ্ববিদ্যালয় বিলটি পাশের মাধ্যমে ২০০২ সালের ১লা সেপ্টেম্বর এটিকে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এ রূপান্তর করা হয়।
অনুষদসমূহ
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩টি পূর্নাঙ্গ অনুষদ ও ৬টি ডিগ্রী প্রদানকারী বিভাগ আছে।
১.তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল অনুষদঃ
ক) তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল বিভাগ
খ) ইলেক্ট্রনিক ও টেলিকমিউনিকেশন কৌশল বিভাগ
গ) কম্পিউটার কৌশল বিভাগ
২.যন্ত্রকৌশল অনুষদঃ
ক) যন্ত্রকৌশল বিভাগ
খ) ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও প্রোডাকশন কৌশল বিভাগ
৩.পুরকৌশল অনুষদঃ
পুরকৌশল বিভাগ
অন্যান্য বিভাগসমুহ
ক) মানবিক
খ) পদার্থ
গ) রসায়ন
ঘ) গণিত
আবাসিক হলসমূহ
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত করতে ছাত্রদের জন্য ৫টি এবং ছাত্রীদের জন্য ১টি আবাসিক হল আছে।হলগুলোঃ
১.শহীদ লেঃ সেলিম হল
২.শহীদ প্রেসিডেণ্ট জিয়াউর রহমান হল
৩.শহীদ শহিদুল ইসলাম হল
৪.শহীদ আব্দুল হামিদ হল
৫.টিনশেড হলও
৬.মহিলা হল

No comments:

Post a Comment