Blogroll

Friday, April 12, 2013

Noakhali Science and Technology University

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
প্রতিষ্ঠা:          ২০০৬
ধরন:             পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়
আচার্য:           রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান
উপাচার্য:         প্রফেসর ডঃ সঞ্জয় কুমার অধিকারী।
অনুষদ:          ২
ছাত্র:              ৭২০ জন
অবস্থান:         নোয়াখালী
ঠিকানা:          সোনাপুর, নোয়াখালী
প্রাঙ্গণ:           ১০১ একর
ডাকনাম:        NSTU
সংযুক্তি:         বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন
ওয়েবসাইট:    http://www.nstu.edu.bd/

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলfয় অবস্থিত একটি অন্যতম আবাসিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। নোয়াখালী জেলার সোনাপুরে ১০১ একর জায়গা ওপর বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত। এটি বাংলাদেশের ২৭ তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে ২০০৬ সাল থেকে। বর্তমানে এতে ৪টি বিভাগ রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ৪টি ব্যাচে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা মোট ৭২০জন। ছাত্র-ছাত্রীর অনুপাত প্রায় ৬৫:৩৫। সবগুলো বিভাগে সর্বমোট ৩৯ জন শিক্ষক/শিক্ষিকা আছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে উপকূলীয় বিশ্ববিদ্যালয় (Coastal University) ও বলা হয়। বাংলাদেশে মেরিন এন্ড ফিশারিজ একাডেমি ছাড়া শুধু মাত্র এই বিশ্ববিদ্যালয়েই ফিশারিজ এন্ড মেরিন সাইন্স পড়ানো হয়।এছাড়া এখানে কম্পিউটার সাইন্স এর সাথে টেলিকমিউনিকেশন পড়ানো হয়।
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নোয়াখালী জেলা শহর থেকে আট কিলোমিটার দক্ষিণে সোনাপুর-চরজব্বার সড়কের পশ্চিম পাশে একশ একান্ন একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টি নির্মাণাধীন অবস্থায় আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু অংশে ভূমি উন্নয়ন সম্পন্ন হয়েছে এবং সেখানে একাডেমিক ভবন ও শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য হল এবং ডর্মিটরী নির্মিত হয়েছে।
প্রতিষ্ঠার কথা
২০০১ সালে বাংলাদেশের বৃহত্তর ১১টি জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের স্বিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের আলোকে ২০০৩ সালের ২৫ আগস্ট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট-২০০১ কার্যকর হয়। ২০০৫ সালের ২৪ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০০৬ সালের ৬ এপ্রিল তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। ২৩ জুন ২০০৬ ইং প্রথম একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয় ৪টি বিভাগ নিয়ে এর কার্যক্রম শুরু করে। এগুলো হলো: কম্পিউটার সাইন্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স, ফার্মেসি, এপ্লায়েড কেমিষ্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল টেকনোলজি। নোবিপ্রবি আরও ৭টি নতুন বিভাগ খোলার অনুমতি পেয়েছে, অচিরেই সেইসব বিভাগের কার্যক্রম শুরু করবার আশা করা হচ্ছে।
অনুষদসমূহ
১.লাইফ সাইন্স
(ফার্মেসি, ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স)
২.ইন্জিনিয়ারিং
(কম্পিউটার সাইন্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, এপ্লায়েড কেমিষ্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল টেকনোলজি)
আবাসিক হলসমূহ
১। ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হল
২। হযরত বিবি খাদিজা হল
• ডরমিটরী ২টি
বিভিন্ন বিভাগ সমূহের বর্ণনা
কম্পিউটার সাইন্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং:
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা লগ্ন ২০০৬ সালে এখানে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ খোলা হয়। সহকারী অধ্যাপক জনাব জাবেদ হোসেন এই বিভাগের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব্‌ব পালন করেছেন । এই বিভাগে মোট ৭ জন শিক্ষক রয়েছেন, এদের মধ্যে ২জন সহকারী অধ্যাপক রয়েছেন । এই বিভাগে মোট প্রায় ১৯০ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে ।
এই বিভাগের ল্যাব সুবিধা সমূহ নিন্মরূপ:
1. প্রোগ্রামিং এন্ড ডাটা স্ট্রাকচার ল্যাব
মোট কম্পিউটার সংখ্যা: ৫০; ল্যান এবং ইন্টারনেট: আছে; ওপারেটিং সিস্টেম:উইন্ডোস এক্সপি+উবুন্টু ৭.১০

2. ডিজিটাল সিগনাল প্রসেসিং এন্ড ওপারেটিং সিস্টেম ল্যাব
মোট কম্পিউটার: ২০; ল্যান এবং ইন্টারনেট: আছে; ওপারেটিং সিস্টেম:উইন্ডোস এক্সপি

3. ইলেক্ট্রিকাল এন্ড ইলেক্ট্রনিকস্ ল্যাব
যন্ত্রপাতি: ওসিলোস্কোপ এবং অন্যান্য আরো বিভিন্ন ধরনের ইলেক্ট্রিক যন্ত্রপাতি রয়েছে

4. ডাটা কমিউনিকেশন ল্যাব
5. মাইক্রোওয়েভ ও স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন ল্যাব
ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগ:
বিভাগের মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১৮৩ জন।এই বিভাগে ৭জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন, এদের মধ্যে ৩জন সহকারী অধ্যাপক রয়েছেন। এই বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মেহেদী মাহমুদুল হাসান। সহকারী অধ্যাপক গাউসিয় ওয়াহিদুন্নেসা চৌধুরী বর্তমানে কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাজ্যে পি,এইচ,ডি করছেন।
ল্যাব সুবিধা সমূহ:
1.বায়োকেমিস্ট্রি ল্যাব
2.ফিশারিজ ল্যাব
3.মাইক্রোবায়োলজি ল্যাব
4.কেমিস্ট্রি ল্যাব
5.এনভায়রনমেন্টাল ল্যাব
কম্পিউটার সংখ্যাঃ ২টি, প্রজেক্টর সংখ্যাঃ ১টি
ফার্মেসি বিভাগ:
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা লগ্ন ২০০৬ সালে এখানে ফার্মেসি বিভাগ খোলা হয়। ফার্মেসি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বিভাগটির বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিভাগের মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১৮৫ জন। এর মধ্যে ৬৫% ছাত্র এবং ৩৫% ছাত্রী। বর্তমানে ফার্মেসি বিভাগে ৮জন শিক্ষক রয়েছেন, এদের মধ্যে ৪জন সহকারী অধ্যাপক রয়েছেন। ফার্মাসি বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক জনাব সেলিম হোসেন বর্তমানে মনবুশো স্কলারশিপ নিয়ে জাপানে পি,এইচ,ডি করছেন।
--ফার্মেসি বিভাগের ল্যাব সুবিধা সমূহ নিম্নরূপ--
1.অর্গানিক ল্যাব
2.ইনর্গানিক ল্যাব
3.ফিজিকাল ফার্মাসি ল্যাব
4.ফিজিওলজি ল্যাব
5.মাইক্রোবায়োলজি ল্যাব
6.ফার্মাকোলজি ল্যাব
7.ফার্মাসিউটিকাল টেকনোলজি ল্যাব
8.ফার্মাসিউটিকাল এনালাইসিস এন্ড কোয়ালিটি কন্ট্রোল ল্যাব
9.ফার্মাসিউটিকস্ ল্যাব
কম্পিউটার সংখ্যাঃ ৩টি, প্রজেক্টর সংখ্যাঃ ১টি
এপ্লায়েড কেমিষ্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ:
এই বিভাগে ৪টি ব্যাচে মোট ১৯০জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। মেট ৯জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন, এদের মধ্যে ২জন সহকারী অধ্যাপক রয়েছেন। এই বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল আলম।
-ল্যাব সুবিধা সমূহ-
1.অর্গানিক ল্যাব
2.ইনর্গানিক ল্যাব
3.জেনারেল কেমিস্ট্রি ল্যাব
4.কেমিক্যাল টেকনোলজি ল্যাব
5.কেমিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং ল্যাব
6.ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাক্ট এনালাইসিস ল্যাব
7.এপ্লায়েড কেমিস্ট্রি ল্যাব
কম্পিউটার সংখ্যাঃ ২টি, প্রজেক্টর সংখ্যাঃ ১টি

No comments:

Post a Comment